
Denial of Service attack: সংক্ষেপে DoS Attack একটি প্রক্রিয়া যেখানে হ্যাকাররা কোন একসেস না পেয়েও কোন নেটওয়ার্ক এ ঢুকে তার ক্ষমতা নষ্ট করে। DoS Attack এ নেট কানেকশন বা রাউটারের ট্যারিফ বাড়িয়ে দেয়।
Trojan Horses : হচ্ছে একটি প্রোগ্রাম যা অন্যান্য প্রোগ্রামকে নষ্ট করে। এটিকে সবাই ভাইরাস নামেই চিন। Trojan Horses ব্যবহার করে অন্যান্য প্রোগ্রাম নষ্টের পাশা পাশি পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য তথ্য হ্যাকারদের কাছে সংকৃয় ভাবে পৌছিয়ে দেয়।
Back Doors: Back Doors খুজে বের করে হ্যাকাররা কোন সিস্টেম কে কাজে লাগায়। Back Doors গুলো হচ্ছে প্রশাসনিক সহজ রাস্তা, configuration ভুল, সহজে বুঝতে পারা যায় এমন passwords, এবং অসংরক্ষিত dial-ups কানেকশন ইত্যাদি। এরা কম্পিউটার এর সাহায্যে এ ত্রুটি গুলো বের করে। এ গুলো ছাড়া ও অন্যান্য দুর্বল জায়গা ব্যবহার করে কোন নেটওয়ার্ক কে কাজে লাগায়।
Rogue Access Points : কোন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কে প্রবেশের জন্য হ্যাকাররা Rogue Access Points ব্যবহার করে।
এছাড়াও আরো অনেক ভাবে হ্যাকাররা হ্যাকিং করতে পারে যা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। আমার এগুলো জানানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমে যেন এ ধরনের ত্রুটি না থাকে।
হ্যাকিং থেকে বাঁচার কিছু অতি প্রয়োজনীয় ট্রিক্সঃ
১. কোন অপরিচিত সফটওয়ার ডাউনলোড করা বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন এমনকি তা যদি আপনার বন্ধুও বলে ব্যবহার করতে(সব বন্ধু না, আপনি যাদের বিশ্বাস করেন আবার করেননা)।যদি কোন সফটওয়্যার নিত্তান্তই ডাউনলোড করা লাগে আগে তার সম্পর্কে নেটে সার্চ করে জেনে নিন ।
২. কোন সাইটে লগ-ইন করার সময় সাইটের এডড্রেসটা ভালোভাবে চেক করে নিন।মেইল থেকে পাওয়া লিঙ্ক দিয়ে কোথাও লগ-ইন করা থেকে বিরত থাকুন।
৩.আপনি যদি একজন Developer হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই সাধারন ব্যবহারকারী থেকে আরো ভালো করে সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
৪. পাসওয়ার্ড সব সময় ৮ ডিজিটের বেশি দিন।কী জেনারেটর সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে সাধারন কম্পিউটার দিয়ে এর বেশি ডিজিটের পাসওয়ার্ড ভাংতে পারেন। যত পারেন নাম্বার দিয়ে পাসওয়ার্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।আর এখন প্রায় সব সাইটেই ইউনিকোড সাপোর্ট করে, তাই যদি কোন শব্দ ব্যবহার করেন তাহলে নিজে দেশের শব্দ ব্যবহার করুন যা আপনার মনে রাখতে সহজ হয়। তাই বলে ভাববেননা যে আমি আপনাকে শব্দ ব্যবহার করতে বলছি।যত পার শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ইংরেজী শব্দকে সম্পূর্ন না বলুন।মাঝে Space ব্যবহার করুন।
৫. আর অপরিচিত সাইটে লগ-ইন করা থেকে বিরত থাকুন।
৬. কয়েক সপ্তাহ বা ১-২ মাস পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ফেসবুকের “Forgot password?” অপশনটি ব্যবহার করুন।
৭.এমন কোন তথ্য প্রোফাইল ইনফোতে ব্যবহার করবেন না যা আপনার ইমেইল অথবা ফেসবুক একাউন্ট এর পাসওয়ার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব সাইটে ব্যাক্তিগত তথ্য যত কম প্রদান করবেন ততই আপনি সুরক্ষিত।
৮.এমন অনেক ব্যবহারকারী আছেন যারা প্রোফাইল ছবি দেখেই ফ্রেন্ড লিস্টে এড করে বসেন। কোন অপরিচিত রিকোয়েস্ট এলে তাদের ইনফো আগে যাচাই করে নিন।দেখুন তার ফ্রেন্ডলিস্টের সংখ্যা কেমন।তার অন্যান্য ইনফো সঠিক কিনা। তাছাড়া আপনাদের মাঝে কোন ফ্রেন্ড কমন আছে কিনা তাও দেখে নিন। তারপর স্বীদ্ধান্ত নিন। এমন কাউকে লিস্টে যুক্ত করবেন না যাদের প্রোফাইল ছবি পর্যন্ত নেই।
৯.এমন অনেক ফিশিং ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে যারা ব্যবহারকারীদের ভুল ইনফো দিয়ে একটি ওয়েব লিঙ্ক প্রদান করে। সাবধান!এসব লিঙ্ক এ ক্লিক করার আগে এপলিকেশনটির Terms and Condition পড়ে নিন। কোন বন্ধুও যদি আপনাকে এধরনের লিঙ্ক এ ক্লিক করার রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে থাকে তবে তা ফিশিং ওয়েবসাইট কিনা তা যাচাই করে নিন।মনে রাখবেন, ফেসবুক বা ফেসবুকের কোন এপলিকেশন আপনার ফেসবুকের বা ইমেইল এর পাসওয়ার্ড চাইবে না।
১০.হ্যাকাররা এখন ফেসবুক হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে ইমেইল কে বেছে নিয়েছে। কোন ওয়েব সার্ভিস আপনার কাছে ব্যাক্তিগত তথ্য চাইবে না। যেমন ফেসবুক কখনোই আপনাকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের কোন নোটিশ ইমেইল করবেনা অথবা ব্যাক্তিগত তথ্য হালনাগাদের অজুহাত দিবে না। যদি এরকম কিছুর প্রয়োজন পড়েই তবে ফেসবুক আপনাকে হোমপেজ অথবা আপনার setting এ গিয়ে পরিবর্তনের জন্য বলবে। তাই কোন ইমেইল থেকে প্রাপ্ত Offer যাচাই না করেই তথ্য দিয়ে বসে থাকবেন না।
১১.আপনি যে ইমেইল দিয়ে আপনার ফেসবুকে লগ ইন করে থাকেন, সেই ইমেইল এর পাসওয়ার্ড নিয়মিত হালনাগাদ রাখুন। তা নাহলে আপনার ইমেইল একাউন্ট হ্যাকিং হলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট ও হ্যাকিং হতে সময় লাগবে না। এ ব্যাপারে আমার পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুক একাউন্টের জন্য আলাদা একটি ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করুন। তাছাড়া “Security Question” অপশন টিতে কোন ব্যাক্তিগত তথ্য সম্বলিত উত্তর রাখবেন না।