Cyber-71 Team : দেশের নতুন আরেকটি হ্যাকার গ্রুপ হল সাইবার৭১। তারা দাবি করে বাংলাদেশের সাইবার স্পেস সুরক্ষা করাই তাদের দায়িত্ব। দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই জন্ম লাভ করে বাংলাদেশের এই গ্রুপটি। গ্রুপটি চালু হবার পর থেকেই গ্রুপের এডমিন এবং ক্রু মেম্বাররা নিত্য নতুন ডিফেসিং কৌশল দেখিয়ে অবাক করে দিচ্ছেন সবাইকে। বাংলাদেশের সাইবার জগতের পরিচিত মুখ সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান এলুমিনিয়াম সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা আলমাস জামান এই গ্রুপের একজন এডমিন হিসেবে আছেন। দেশের জন্য ভালো কিছু দিবে এমনটাই আশাকরা যায় এই গ্রুপের কাছে।
Anonymous Bangladesh: এই গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা Core Anon নামের ১জন প্রবাসী বাঙালীর ।
তারা এখন পর্যন্ত উল্লেখ করার মত কোন কাজ করতে পারে নাই । International Anonymous এর সাথে তাদের ভাল যোগাযোগ আছে । আর Anonymous Bangladesh >> International Anonymous থেকে আনুমোদন প্রাপ্ত গ্রুপ ।
এই গ্রুপটি বাংলাদেশের সব গুলা গ্রুপকে একসাথে কাজ করার ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করছে ।
Team BD7 : এই গ্রুপটি সম্পর্কে ভালোভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না । তারা নিজেদেরকে আন্ডার গ্রাউন্ড গ্রুপ দাবি করে । এর সদস্য কারা এখন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়নি ।
তবে গ্রুপটির ৭জনের সাইবার নিক পাওয়া যায় ।
• S4K3-BD.$3V3N,
• HAXOR-BD.$3V3N
• MR.BD.$3V3N
• $N1P3R-BD.$3V3N
• $T3W@RD-BD.$3V3N
• GH0$T.BD.$3V3N
• P5YCH0_BD.$3V3N
গ্রুপটি এখন পর্যন্ত আহামারি কিছু করতে পারে নাই ।
বাংলাদেশে হ্যাকারদের নিয়ে রয়েছে সম্ভাবনাঃ
আপনি কি জানেন বাংলাদেশে বিশ্বমানের অনেক হ্যাকার রয়েছেন? তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিশ্বের সেরা হ্যাকার TiGER-M@TE।
TiGER-M@TE : তাকে ওয়ার্ল্ড এর অন্যতম সেরা হ্যাকার হিসেবে ধারণা করা হয় । ১ দিনে সর্বোচ্চ ৭ লাখ সাইট হ্যাক করার কৃতিত্ব দেখান । যেটা আজ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হিসেবে আছে । অনেকের ধারনা তার নাম ইমরান ( Imran) । আজ পর্যন্ত কেউ অনার সম্পর্কে কোন কোন তথ্য দিতে সমর্থ হয়নি ।zone-h তার স্থান প্রথম ৩ জনের ১ জন।আর তিনি আমাদের বাংলাদেশের কৃতিসন্তান।
বিশ্বে বিশ্ব হ্যাকারদের হ্যাকিং সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা হ্যাক মিরর সাইটের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী পৃথিবীর ৯১৮টি হ্যাকার টিমের মধ্যে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস। একই সঙ্গে এই হ্যাকার টিমটি জোন-এইচে পৃথিবীর সেরা ৫০টি টিমের মধ্যে ৩২তম স্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের হ্যাকার টিমের মধ্যে দলগতভাবে এ কৃতিত্ব অর্জনের ঘটনা এবারই প্রথম।
বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানে উঠে আসার আগে ইন্দোনেশিয়ান, ইরান, তুরস্কের হ্যাকাররা এগিয়ে ছিল। ইন্দোনেশিয়া ছিল প্রথম স্থানে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সাইবার যুদ্ধে বাংলাদেশের হ্যাকাররা ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক হামলা চালালে তারা অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সাইবার যুদ্ধ চলাকালীন সে দেশের সরকারি উদ্যোগে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে পিছু হটে ইন্দোনেশিয়ান হ্যাকাররা। এমন নানান সাফল্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হ্যাকার টিম এখন বিশ্বের এক নম্বর অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। এদিকে এই হ্যাকার টিমটি সম্প্রতি জোন-এইচে পৃথিবীর সেরা ৫০টি হ্যাকার টিমের মধ্যে ৩২ নম্বর স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। মাত্র দুই বছরের একটু বেশি সময় ধরে হ্যাকিং নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস এই শীর্ষ স্থানে চলে এলো। তবে এককভাবে জোন-এইচে বাংলাদেশের আরেক সেরা হ্যাকার টাইগার ম্যাট এই মুহূর্তে ২০ নম্বর স্থানে অবস্থান করছেন। তিনি এর আগে ৭ম স্থানে ছিলেন। মূলত অনিয়মিত হ্যাকিংয়ের কারণে তিনি ক্রমশ নিচের দিকে চলে আসছেন। জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় হ্যাক মিরর এবং ২০০২ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় জোন-এইচ। তুলনামূলক পুরনো সময়ের হ্যাকারদের একক রাজত্বকালে গত ১১ বছর ধরে কিছু হ্যাকার টিম শীর্ষ স্থানে ছিল। তবে এখন হ্যাকারদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করার ফলে ক্রমশ এই তালিকা থেকে কিছু টিম পিছে চলে যাচ্ছে। আর কিছু টিম দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশেরও একটি টিম এগিয়ে চলেছে (বর্তমানে ৩২তম)। আর ঠিক কত দিনে জোন-এইচে পৃথিবীর সেরা হ্যাকারদের সরিয়ে প্রথম স্থানে আসা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারসের এডমিন রোটেটিং রটোর এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা এখন যে গতিতে এগুচ্ছি তা নিয়মিত করতে পারলে আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে আমরাই হব পৃথিবীর সেরা এবং শক্তিশালী হ্যাকার টিম। বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারসের এডমিন রোটেটিং রটোর বলেন, র্যাং কিংয়ে আমরা এগিয়ে থাকার ফলে সারা বিশ্বের হ্যাকারদের চেয়ে আমাদের হ্যাকাররা যে অনেক দক্ষ তাই প্রমাণিত হল। যেখানে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হ্যাকাররা কাজ করেও কোন অবস্থানেই নেই সেখানে আমরা কোন সাহায্য না পাওয়া সত্ত্বেও ১ নম্বরে আমাদের অবস্থান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন